হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিকিউর করা ৫ টি পদ্ধতি। - Hack School Bangladesh

হ্যাকিং শিখুন নিজেকে রক্ষা করার জন্যে!

শনিবার, ৬ জুন, ২০১৫

হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিকিউর করা ৫ টি পদ্ধতি।




আশা করি সবাই ভালো আছেন, কথা না বাড়িয়ে টিউটোরিয়াল শুরু করা যাক।

১) আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এনক্রিপ্ট করে রাখুনঃ
আপনি যখন ওয়াইফাই ব্যাবহার করে ইন্টারনেটে এক্সেস করেন তখন আপনার পিসি থেকে যে ডাটা সেন্ড হচ্ছে বা রিসিভ হচ্ছে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেটা ডাটা যে কেউ স্নিপ করে নিতে পারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে চুরি করে নিতে পারে packet sniffers ব্যাবহার করে একজন নুব হ্যাকারও এই কাজ করতে পারে packet sniffer সফটওয়্যার ব্যাবহার করে। যদি সে এটা করতে সক্ষম হয় তাহলে সে আপনি কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন শুধু তা না । আপনি যেসকল ওয়েবসাইটে আপনার লগিন ডেটাইলস দিয়ে লগিন করছেন সে সকল লগিন ডিটেইলস ও হাতিয়ে নিতে পারে আপনার পার্সোনাল একাউন্টের । আপনি যদি encrypt করে নেন আপনার wifi network তাহলে যদিও হ্যাকার আপনার ডাটা Sniff করতে পারলেও encrypt থাকার কারণে সে ডাটা রিড করতে পারবে না ।

২) আপনার রাউটারের ডিফল্ট পাসোয়ার্ড বদলিয়ে একটি কঠিন পাসোয়ার্ড ব্যাবহার করুনঃ

বেশির ভাগ ওয়াইফাই ইউজাররাই এই ভুল টি করে থাকেন সেটা হচ্ছে তারা নিজেদের রাউটারের ডিফল্ট পাসোওয়ার্ড চেঞ্জ করেন না। অনলাইনের পাবলিক ডাটাবেইজে, মার্কেটে পাওয়া এমন সব রাউটারেরই ডিফল্ট পাসওয়ার্ড কি ব্যাবহার করে সেটা পাওয়া যায়। যদি হ্যাকার আপনার রাউটারে এক্সেস নিতে পারে তাহলে সে তার নিজের প্রয়োজন মতো নেটওয়ার্ক  সিকিউরিটি সেটিং চেঞ্জ করে নিতে পারে নিজের কার্য সিদ্ধির জন্যে। আপনার রাউটারের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করার জন্যে আপনি আপনার রাউটারের সেটিং এ গিয়ে রাউটারের এডমিনিস্ট্রেশন পেইজে যান এবং সেখান থেকে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন, এবং কখনোই পাসোয়ার্ড ব্রাউজারে সেইভ রাখবেন না কারণ যদি কারো আপনার পিসিতে ফিজিক্যাল এক্সেস থাকে তাহলে সে সহজেই সেভ পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে পারে ।

৩) রাউটারের Firmware আপডেট করে রাখুনঃ 

আপনি যে কোম্পানির রাউটার ব্যাবহার করেন সে কোম্পনির ওয়েবসাইটে তারা তাদের রাউটার ফ্রেমওয়্যার নিয়মিত আপডেট পোস্ট করে থাকে, সেখান থেকে আপনি আপনার রাউটারের ফ্রেমওয়্যার নিয়মিত আপডেট করে নিতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ের রাউটার গুলোতে যদি কোনো আপডেট আসে ফ্রেমওয়্যারের তাহলে সেটার আপডেটের নটিফিকেশন দেখায়, সেখান থেকে আপডেট করে নিন।

৪) আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যাবহার করবেন না তখন আপনার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অফ করে রাখুনঃ

আমার মনে হয় ৯০% মানুষই এই কাজ করে থাকে, যদি আপনার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অনেক সময় ধরে চালু থাকে তাহলে সমস্যা হয় কি যদি কোনো হ্যাকার আপনার
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ককে টার্গেট করে হ্যাক করার জন্যে তাহলে আপনার প্রায় সব ডিভাইস অন থাকা দরকার (নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত ডিভাইস গুলো)  যদি বেশি সময় ধরে অন থাকে আপনার নেটওয়ার্ক তাহলে হ্যাকারকে সেটা সাহয্য করবে আপনার নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি ব্রেক করার ক্ষেত্রে।

৫) ওয়াইফাই নেইম দিন ভয়ঙ্কের ধরনের যাতে অপরিচিত কেউ আপনার ওয়াইফাইয়ের সাথে কানেক্ট হওয়া থেকে বিরত থাকেঃ 


যদি আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নাম এ ধরনের দেন C:\virus.exe তাহলে বেশির ভাগ অনাকাঙ্খিত লোকজনেই আপনার ওয়াইফাইয়ের সাথে কানেক্ট হতে
চাইবে না এই ভয়ে যে তার ডিভাইস ও হয়তো হ্যাকিং এর স্বীকার হব। আপনি আপনার মাথা খাটিয়ে আরো ভয়ঙ্কর ধরনের নাম ব্যাবহার করতে পারেন
যেটা অনাখাঙ্কিত লোকজন আপনার ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকে এই ভয়ে যে যদি সে কানেক্ট হয়ে যায় তাহলে হয়তো তার ডিভাইসও হ্যাকারের হাতে চলে যাবে :P

ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্যে যদি আপনাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে টিউনমেন্ট করুন শেয়ার দিন যাতে অন্যরাও এই ব্যাপার গুলো শিখতে পারে।
যদি কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলেও টিউনমেন্টের মাধ্যমে জানান।

আমার সাথে ফেইসবুকে যোগাযোগ করতে পারেনঃ আমি আছি ফেইসবুকে
আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে সবাইকে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আমার টিউটোরিয়াল ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Pages